
হেলসিংকি/জেরুজালেম, ৩০ মে ২০২৫ — ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের ২২টি নতুন বসতি অনুমোদনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফিনল্যান্ড। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিনা ভ্যালটোনেন এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক পোস্টে বলেন, “আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, এসব বসতি অবৈধ। দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা সৃষ্টি করা অগ্রহণযোগ্য এবং এটি শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার পরিপন্থী।”
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ এই নতুন বসতিগুলো নির্মাণের ঘোষণা দেন। তিনি জানান, বসতিগুলো পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে নির্মিত হবে, যদিও নির্দিষ্ট অবস্থান প্রকাশ করা হয়নি।
স্মোত্রিচ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার পক্ষে কথা বলে আসছেন, এক্সে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলেন, “এই বসতিগুলো ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
এই ঘোষণার পর ইসরায়েলের মানবাধিকার সংগঠনগুলো তীব্র সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখলের ধারাবাহিক কৌশলের অংশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ শুধু ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়াবে না, বরং পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর সঙ্গেও সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি করতে পারে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র এর আগেও বসতি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ নতুন বসতি পরিকল্পনা দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে আরও দুর্বল করে দেবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।