মৃ’ত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম খালাস, এনসিপি নেতার প্রতিক্রিয়া

ঢাকা, ২৭ মে ২০২৫:
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। এ সিদ্ধান্তের পর সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সারজিস আলম লেখেন, “মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহার আজ মুক্তি পেয়েছেন। আওয়ামী দুঃশাসনের শিকার হয়ে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের কথা মনে পড়ছে আজ।” তিনি আরও বলেন, “সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী কিংবা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীও হয়তো এভাবেই ফিরে আসতে পারতেন, যদি সময় ও বিচার ব্যবস্থার সুযোগ পেতেন।”

স্ট্যাটাসে সারজিস আলম বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম এবং রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হাজারো মানুষের কথাও স্মরণ করেন। তিনি লেখেন, “যারা এখনও জীবিত, তারা যেন দেশের জন্য পাওয়া সুযোগ এবং দায়িত্বের আমানতের খেয়ানত না করেন।”

এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মামলা হয় ২০১২ সালে। মগবাজারের নিজ বাসা থেকে ২২ আগস্ট তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ২০১৫ সালে আপিল করলে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের মার্চে।

তবে ঐ রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন করে আজহারুল ইসলাম। ইতিহাসে এই প্রথম কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রিভিউ পর্বে এসে পুনরায় আপিল শুনানির অনুমতি দেয় আপিল বিভাগ। পুনরায় শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার তাঁকে খালাস দেওয়া হয়।

এই রায়ের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় এমন নজিরবিহীন রায়কে কেন্দ্র করে আলোচনা-সমালোচনা তীব্র হতে পারে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *