
‘আমরা ঐতিহাসিক জুলাই চার্টার স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে শুরুতে কয়েক মিনিট বিলম্ব হতে পারে।’— এমনটিই জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন,
‘সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন অতিথি ভেন্যুতে পৌঁছেছেন। আমাদের ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা দেখতে আমরা উন্মুখ।’
এদিকে, রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দিনব্যাপী “জুলাই যোদ্ধা”দের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা সংঘর্ষের পর এলাকাজুড়ে সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বৃষ্টিতে সড়কের কয়েক জায়গায় জ্বালানো আগুন নিভে গেলেও এখনো কিছু স্থানে ধোঁয়া উঠছে। সড়কের এক পাশ দিয়ে সীমিত আকারে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
এর আগে সকালে, তিন দফা দাবিতে সংসদ ভবনের ফটক টপকে মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন জুলাই যোদ্ধারা। একপর্যায়ে তারা মঞ্চের সামনে সাজানো চেয়ারগুলোতে বসে পড়েন। তাদের তিনটি দাবি হলো—
১. জুলাই সনদ সংশোধন,
২. সনদকে স্থায়ীভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা, এবং
৩. সনদে “জুলাই যোদ্ধা”দের স্বীকৃতি দেওয়া।
পরে, দাবির আংশিক প্রতিফলন ঘটিয়ে সনদের অঙ্গীকারনামার ৫ম দফায় সংশোধন আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই জরুরি সংশোধনী সংযোজন করা হয়েছে।’