
কুড়িগ্রামের ৯টি কলেজে শতভাগ শিক্ষার্থী এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। জেলার ৬টি উপজেলার এসব কলেজের মোট ৭৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করলেও অংশ নেয় মাত্র ৫৪ জন। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সবাই ফেল করেছে, আর বাকি ২২ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
শতভাগ ফেল করা কলেজগুলো হলো—
নাগেশ্বরী উপজেলার কুটি পয়রাডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজ (৭ জনের ৩ জন ফেল, ৪ জন অনুপস্থিত), সমাজকল্যাণ মহিলা কলেজ (১ জন ফেল), চিলাখানা মডেল কলেজ (৭ জনের ৬ জন ফেল, ১ জন অনুপস্থিত), ফুলবাড়ী উপজেলার রাশেদ খান মেনন কলেজ (১৮ জনের ১২ জন ফেল, ৬ জন অনুপস্থিত), ভূরুঙ্গামারীর ধলডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজ (২ জনের ১ জন ফেল, ১ জন অনুপস্থিত), রাজারহাটের সিংগের ডাবড়ীহাট কলেজ (১৫ জনের ১০ জন ফেল, ৫ জন অনুপস্থিত), রৌমারীর টাপুর চর স্কুল অ্যান্ড কলেজ (৪ জন ফেল), চর শৌলমারী আদর্শ মহিলা কলেজ (২০ জনের ১৫ জন ফেল, ৫ জন অনুপস্থিত) এবং উলিপুরের বাগুয়া অনন্তপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ (২ জন ফেল)।
চিলাখানা মডেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ বলেন, “গত বছর আমাদের ফল ভালো ছিল। এবারের পরীক্ষার্থীরা ফরম পূরণ করতেই চায়নি, পরে তাদের বাড়ি থেকে এনে ফরম পূরণ করানো হয়।”
সমাজকল্যাণ মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আশরাফুল আলম জানান, “প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন এমপিওভুক্ত না হওয়ায় অনেক শিক্ষক চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন, ফলে এমন ফল হয়েছে।”
রাশেদ খান মেনন কলেজের অধ্যক্ষ ফখরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের কলেজে নিয়মিত পাঠদান হয়। কেন সবাই ফেল করেছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন জানানো হবে।”
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুর অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর মো. আমীর আলী বলেন, “শতভাগ অকৃতকার্য হওয়া কলেজগুলোর বিষয়ে মন্ত্রণালয় যে নির্দেশনা দেবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”