
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচন কমিশন থেকে দলীয় নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে। তবে দলের পছন্দের প্রতীক শাপলা বরাদ্দ নিয়ে ইসি ও এনসিপির মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে।
দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার জানিয়েছেন, শুরু থেকেই তারা শাপলাকেই দলীয় প্রতীকের জন্য চেয়েছে। “১৫০টি মার্কার মধ্যে শাপলা থাকবে বলে ইসি জানিয়েছিল। এরপরই আমাদের জুলাই পদযাত্রায় দেশের নানা প্রান্ত থেকে সমর্থকরা শাপলার সঙ্গে অংশ নিয়েছে। ফলে শাপলার বিকল্প নেই,” তিনি বলেন।
দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, জাতীয় প্রতীকের অংশ হিসেবে ধানের শীষ, পাটপাতা ও তারকার মতো প্রতীকের বরাদ্দ ইতোমধ্যেই হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে শাপলাও কোনও বাধা ছাড়াই বরাদ্দ দেওয়া যায়।
তবে নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত শাপলা প্রতীক বরাদ্দ না দেওয়ার পক্ষে। কমিশন এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। নির্বাচন বিশেষজ্ঞ জেসমিন টুলি বলেন, “তালিকার বাইরে নতুন প্রতীক বরাদ্দে আইনি বাধা নেই। শাপলা অন্তর্ভুক্ত করতে শুধু বিধিমালায় একটি ছোট সংশোধনী প্রয়োজন।”
এ পরিস্থিতিতে এনসিপির নেতারা জানিয়েছেন, শাপলা না পেলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করবেন এবং প্রয়োজনে আন্দোলনও করবেন। সারোয়ার তুষার বলেন, “আমরা এই প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে যাবো না। যদি দেওয়া না হয়, তাতে ইসি দায়ী।”
এ প্রতীক বরাদ্দের দ্বন্দ্ব নিয়ে দলের শীর্ষ নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন, এতে নির্বাচন কতটা নিরপেক্ষ হবে।