
ঢাকা, ২৬ মে ২০২৫:
চলতি বছরের কোরবানিকে কেন্দ্র করে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি জানিয়েছেন, কোরবানির অর্থনীতি এবার ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সোমবার (২৬ মে) বিকেলে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি)-তে ‘দেশীয় পশুতে কোরবানি: পশু ও চামড়া ব্যবস্থাপনায় করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটি আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ)।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, “কোরবানি আমাদের আবেগ ও ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়। এবারের কোরবানিতে দেশীয় খামারিরা নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রাজশাহীতে গিয়ে দেখেছি, স্থানীয় খামারিরা বলছেন পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে গরু-ছাগল পালনের আগ্রহ বাড়ছে, বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে।”
তিনি আরও জানান, “বর্তমানে কোরবানির পশু নিয়ে বাইরের দেশের ওপর নির্ভরতা নেই বললেই চলে। এবার কাঁচা চামড়া সংরক্ষণের জন্য সরকার বিনামূল্যে লবণ দেবে এবং নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী কেনাবেচা নিশ্চিত করবে। প্রয়োজনে কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ করে বিদেশেও রফতানি করা হবে।”
চামড়া শিল্পে সম্ভাবনার দিক তুলে ধরে ফরিদা আখতার বলেন, “চামড়া শিল্পে নতুন দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। এই খাত থেকে রপ্তানিমুখী আয় বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।”
সেমিনারে উপস্থিত অতিথিরা
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিএজেএফ সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদ এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, কৃষিবিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আলী আফজাল, বিএলআরআই মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. বয়জার রহমান।
অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) ড. এবিএম খালেদুজ্জামান এবং এলডিডিপি প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন।
উপসংহার:
কোরবানির সময় ঘিরে গবাদিপশু পালন, পশু বিক্রি, চামড়া সংরক্ষণ ও রপ্তানি—সব মিলিয়ে দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারের নীতিগত সহায়তা এবং স্থানীয় খামারিদের অংশগ্রহণে এবার এই খাত আরও প্রাণবন্ত হবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।