
সিলেটের ভোলাগঞ্জে আবারও ব্যাপক পরিমাণে সাদাপাথর উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে জেলার ধোবাগুল এলাকায় বিশেষ অভিযানে তারা প্রায় আড়াই লাখ ঘনফুট সাদাপাথর উদ্ধার করে। এর আগে উদ্ধার হওয়া সাড়ে এক লাখ ঘনফুটসহ মোট প্রায় ৪ লাখ ঘনফুট পাথর এখন সেনা সদস্যদের হেফাজতে রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এসব পাথরের বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের পাশাপাশি সুরক্ষা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর সংস্কারে নামতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিসকে। ভাঙা ও গর্ত হয়ে যাওয়া এলাকাগুলো সমান করার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের নিয়োগকৃত শ্রমিকরাও এতে অংশ নিচ্ছেন। অন্যদিকে, শুক্রবার দিবাগত রাতে পুলিশ ধলাই নদীর পূর্বপাড় থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে, যারা পাথর লুটের নিয়ন্ত্রণে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। একই রাতে অজ্ঞাত দুই হাজার জনকে আসামি করে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি থেকে দুষ্কৃতিকারীরা অবৈধভাবে কোটি টাকারও বেশি মূল্যের পাথর লুট করেছে। পরিবেশকর্মীদের দাবি, গত এক বছরে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ ঘনফুট পাথর লুটপাট হয়েছে, যার বাজারমূল্য দুই শত কোটি টাকারও বেশি। স্থানীয় ব্যবসায়ী মহল বলছে, এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর নিয়মিত অভিযান চলমান থাকা দরকার। অন্যথায় দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ও প্রাকৃতিক সম্পদের ভাণ্ডার ভোলাগঞ্জ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।