
অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার আমলে গোয়েন্দা নজরদারির জন্য কেনা যন্ত্র ও সরঞ্জাম এবং সেগুলোর ব্যবহার নিয়ে তদন্তে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি খতিয়ে দেখবে—সরঞ্জামগুলো কোথা থেকে কেনা হয়েছে, কত দাম দিয়ে আনা হয়েছে, কীভাবে ব্যবহার হয়েছে এবং এ প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম বা অপব্যবহার হয়েছে কি না। প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পুলিশের মারনাস্ত্র কেনার বিষয়েও আরেকটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, এই তদন্তগুলো মূলত গত সরকারের সময়ে নেওয়া কেনাকাটার স্বচ্ছতা যাচাই ও জনগণের অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য গৃহীত হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
এ সময় শফিকুল আলম আরও বলেন, বর্তমান সরকার অতীতের অপশাসন ও পৈশাচিকতা পেরিয়ে জনকল্যাণমূলক কাজে মনোযোগী। প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক মালয়েশিয়া সফরে দুই দেশের মধ্যে শ্রমিক কল্যাণ, সামাজিক নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। বিশেষ করে মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের স্থানীয় শ্রমিকদের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে দুই দেশ ঐকমত্যে পৌঁছেছে, যা প্রবাসীদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।