৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পা ধরেছিলেন রেহানা: চিফ প্রসিকিউটর

ঢাকা, ২৫ মে — প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ক্ষমতা ধরে রাখতে শেষ সময়েও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও রক্তপাত ঘটানোর অভিযোগ তুলেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। রোববার (২৫ মে) ট্রাইব্যুনালে অনুষ্ঠিত এক শুনানিতে তিনি লিখিতভাবে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

শুনানিকালে চিফ প্রসিকিউটর বিচারকদের সামনে জুলাই-আগস্ট সময়ে শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের ভূমিকা তুলে ধরেন। তার দাবি, “ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে শেখ হাসিনা বলপ্রয়োগের পথ বেছে নেন, যা দেশের জন্য চরম মূল্যবহ।”

তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্ট গণভবনে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে রাজি করাতে শেখ রেহানা নিজ বোনের পায়ে ধরেন। পরিবারের বোঝানোর পরই তিনি পদত্যাগে সম্মত হন।”

শুনানি শেষে আদালত প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, “এই তদন্ত প্রতিবেদনে এমন সব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানের যেকোনো আদালতে শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধ প্রমাণে যথেষ্ট। আমরা সকল প্রমাণ ও উপাত্ত সংগ্রহ করেছি এবং তা আদালতে উপস্থাপন করার প্রস্তুতিও সম্পন্ন।”

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই প্রতিবেদন রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে এবং এর পরিণতি দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

সতর্কতামূলকভাবে উল্লেখ্য, এই প্রতিবেদন এখনো বিচারাধীন এবং আদালতের চূড়ান্ত রায় প্রদান হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *