
মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়সসীমা নির্ধারণ নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায়কে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান। তার দাবি, এই রায়ের প্রভাবে দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে স্থগিত রয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) আপিল শুনানিতে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা বলেন, রায় ঘোষণার সময় আদালতের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট ছিল, যা প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় বড় ধরণের প্রভাব ফেলেছে।
রাষ্ট্রপক্ষ কেন মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চায়—এমন প্রশ্নে প্রধান বিচারপতিকে অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, রায়ের কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে থমকে আছে, যা দেশের ইতিহাস ও সম্মানের জন্য বড় ক্ষতি বয়ে আনছে। এর আগে, সরকার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য ন্যূনতম বয়স ১২ বছর ৬ মাস নির্ধারণ করে একটি গেজেট প্রকাশ করে। গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন হলে হাইকোর্ট রায় দিয়ে উক্ত গেজেট ও সংশ্লিষ্ট আইনের ধারা অবৈধ ঘোষণা করে।
হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে আপিল বিভাগ রায়টি স্থগিত করেন। তবে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের জটিলতা শুধু প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডকে বিলম্বিত করে না, বরং মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ের মর্যাদাকেও বিতর্কিত করে তোলে।