
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে থানায় নিয়েছে পুলিশ। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ (উত্তর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার রবিউল হাসান শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, আটক ব্যক্তিদের তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ থেকে ৫ জন আসামিকে শনাক্ত করা হয়েছে, তবে চাঁদাবাজির লাইভ করার কোনো তথ্য মেলেনি। পুলিশের ধারণা, ঘটনার সঠিক কারণ জানতে সিসিটিভিতে ধরা পড়া নারীকে খুঁজে বের করাই হবে তদন্তের মূল চাবিকাঠি।
ঘটনার শুরু হয় গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, শাপলা ম্যানশনের সামনে এক নারীকে মারধর করেন বাদশা মিয়া নামে এক ব্যক্তি। এ সময় কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাদশাকে আঘাত করে। এই হামলার ভিডিও ধারণ করছিলেন সাংবাদিক তুহিন। ভিডিও করার বিষয়টি টের পেয়ে হামলাকারীরা তাকে ভিডিও মুছে ফেলতে বলে। কিন্তু তুহিন নিজের পরিচয় দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেন।
পুলিশ জানায়, ভিডিও ডিলিট করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর তুহিনকে পাশের একটি মার্কেটের সামনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে হামলাকারীরা। শুক্রবারই বাসন থানায় নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। তদন্তকারীরা বলছেন, সিসিটিভি ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা ও আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে দ্রুত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।