
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণ) হাসনাত আবদুল্লাহ একটি লিখিত জবাবে দলীয় শোকজ নোটিশের কড়া জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, আন্দোলনের আহত ও নেতৃত্বদানকারী অনেককে জুলাই ঘোষণাপত্রের অনুষ্ঠানে বাদ দেওয়া হয়েছে, যা তাঁর দৃষ্টিতে শুধু রাজনৈতিক নয়, নৈতিক ব্যর্থতাও। তাই তিনি অনুষ্ঠান বয়কট করে ঢাকার বাইরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দলের কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে তিনি এই ব্যাখ্যা দেন।
শোকজের জবাবে তিনি লেখেন, ঘোষণাপত্রে অভ্যুত্থানের মূল চালিকাশক্তিদের উপেক্ষা করা হয়েছে এবং শহীদ পরিবার ও আহতদের মতামত উপেক্ষিত হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, চূড়ান্ত ঘোষণায় সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে জনগণের প্রত্যাশা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিকে দুর্বল করে। ঘোষণাপত্রে জাতীয় ঐক্যের চেয়ে গোষ্ঠীস্বার্থ ও বিভাজনের প্রতিফলন ঘটেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এজন্য অনুষ্ঠান বর্জনের পাশাপাশি তিনি কক্সবাজারে গিয়ে একান্তে রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করার সিদ্ধান্ত নেন, যা ছিল তাঁর নীরব প্রতিবাদ।
তিনি আরও জানান, কক্সবাজারে অবস্থানকালে একটি ভিত্তিহীন গুজব ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে বলা হয় তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। হাসনাত এই অভিযোগকে “ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার” আখ্যা দিয়ে বলেন, পিটার হাস তখন ওয়াশিংটনে ছিলেন, এবং হোটেল কর্তৃপক্ষও উপস্থিত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তিনি বলেন, “ঘুরতে যাওয়া অপরাধ নয়, কারণ ইতিহাস কেবল মিটিংয়ে নয়— অনেক সময় সাগরের পাড়েও জন্ম নেয়।” শোকজের জবাবের শেষে তিনি দলীয় শৃঙ্খলার প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেন, তাঁর সফর স্বচ্ছ, উদ্দেশ্যপূর্ণ ও দলীয় নীতিমালাবিরোধী ছিল না। “অসভ্য জগতে সভ্যতার এক নিদর্শন হিসেবে” এই জবাব তিনি দিয়েছেন।