
‘জুলাই ঘোষণাপত্রে’ ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ঘটনা উপেক্ষিত থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ হাবিব মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে হাজারো আলেম-ওলামা জীবন দিয়েছেন। এক রাতে লক্ষাধিক গুলি চালানো হয়েছিল। অথচ এত বড় ঘটনা ঘোষণাপত্রে স্থান পায়নি, এটা দুঃখজনক।” একইসঙ্গে তিনি কোরআন তেলাওয়াত ছাড়া অনুষ্ঠানের সূচনা নিয়েও আপত্তি জানান, যা মুসলিম জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বলে উল্লেখ করেন।
জুনায়েদ হাবিব বলেন, “ঘোষণাপত্রে ১৯৭১ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের উল্লেখ থাকলেও ২০১৩ সালের রক্তাক্ত শাপলা চত্বরের আন্দোলনকে পাশ কাটানো হয়েছে। এটা ইতিহাসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।” তিনি আরও বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্র দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সামাজিক দলগুলোর প্রতিনিধিত্বমূলক একটি দলিল। অথচ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী আন্দোলন এতে না থাকাটা বড় ধরনের বৈষম্য।” হেফাজতের পক্ষ থেকে এ নিয়ে আগামী দিনগুলোতে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২৮-দফা সম্বলিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করেন। এ সময় তার পাশে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এই ঘোষণাপত্রে স্বাধীনতা যুদ্ধ, সামরিক শাসনের অবসান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, অবাধ নির্বাচনসহ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার উল্লেখ থাকলেও শাপলা চত্বরের ঘটনা বাদ পড়ায় ইসলামী দল ও ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলো হতাশা প্রকাশ করতে শুরু করেছে।