
জুলাই ঘোষণাপত্রের পদ্ধতিগত কিছু মতানৈক্য থাকলেও, আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে তা কাটিয়ে উঠতে পারলে আগামী শুক্রবার (৮ আগস্ট) চূড়ান্ত জুলাই সনদ ঘোষণা করা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। শনিবার (২ আগস্ট) ঢাকার শিল্পকলা একাডেমিতে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি জানান, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই সনদ একটি ঐতিহাসিক রূপরেখা হিসেবে গণ্য হবে, যার ভিত্তিতে ভবিষ্যতের নির্বাচন ও সংসদ গঠনের পথ উন্মুক্ত হবে।
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, “ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ছয়জনের মরদেহ রাখা আছে, যা বেশিদিন সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। তবে মরদেহ দাফনের আগে ডিএনএ স্যাম্পল রেখে দেওয়া হবে এবং সোমবার (৪ আগস্ট) মরদেহগুলো দাফন করা হবে।” তিনি জানান, রায়েরবাজার গণকবরে যাদের দাফন করা হয়েছে, তাদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ টেস্ট চালু করা হবে এবং স্বজনেরা মরদেহ নিতে চাইলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাম্প্রতিক কার্যক্রম প্রসঙ্গে আসিফ মাহমুদ বলেন, “অভ্যুত্থানের পর অনেকেই এই ব্যানার ব্যবহার করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। তাই আন্দোলন কমিটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ।” তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সংগঠনটি ভবিষ্যতে সুশৃঙ্খল ও ইতিবাচক ধারায় কার্যক্রম চালিয়ে যাবে এবং জাতির ঐক্য ও ন্যায়ের পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।