
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের একটি ঝটিকা মিছিল ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় সংগঠনটির ৬৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান। তিনি জানান, ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন—চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুর এলাকার নুর নবী ওরফে রাজু (৩১), আবদুল আহাদ (১৮), শরিফুল, বাবুনগর গ্রামের মো. শ্রাবণ (১৯), গনিপুর গ্রামের জাহিদুল হাসান (১৯) এবং চর কাউনিয়া গ্রামের মো. আরমান (১৯)। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রেললাইন থেকে হাসান সড়ক পর্যন্ত ২৫-৩০ জন কিশোর ও তরুণ একটি ছাত্রলীগের ব্যানার নিয়ে হঠাৎ মিছিলে নামে। তারা “শেখ হাসিনা ফিরবে”, “অন্তর্বর্তী সরকার মানি না” ইত্যাদি স্লোগান দেয়। নেতৃত্ব দেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মী জিহাদ হাসান রতন। পরে মিছিলের একটি ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল শিহাব। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করে এবং দুটি ফেস্টুন ও তিনটি লাঠি উদ্ধার করে।
ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, “এটি একটি পরিকল্পিত ও উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড। এ ঘটনায় গ্রেফতারদের মধ্যে পাঁচজন এজাহারভুক্ত এবং একজন অজ্ঞাত আসামি। বাকিদেরও ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।” এলাকাবাসীর মাঝে এ ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ এটিকে ‘সাংগঠনিক প্রতিশোধমূলক প্রদর্শনী’ বললেও, প্রশাসনের দাবি—আইনশৃঙ্খলার স্বার্থেই এই কঠোর পদক্ষেপ। এখন দেখার বিষয়, মামলাটি নোয়াখালীর রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে।