
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ১০০-তে উন্নীত করার বিষয়ে বড় অগ্রগতি হয়েছে। মোট ১৪টি বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ। বুধবার (৩১ জুলাই) দিনব্যাপী আলোচনা শেষে তিনি বলেন, “নারী আসনের বিষয়ে প্রায় সকল দল একমত হলেও দুয়েকটি দল নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে। তবুও, নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আমরা সক্ষম হয়েছি।”
আলী রীয়াজ বলেন, “বিদ্যমান সংরক্ষিত আসনের কাঠামো বহাল থাকবে এবং সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে এটিকে আরও জোরদার করা হবে। নারীর সর্বনিম্ন প্রতিনিধিত্ব ৩৩ শতাংশ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় সংসদে প্রতি দফায় ৫ শতাংশ নারী সদস্য মনোনয়ন বাধ্যতামূলক করা হবে।” তিনি জানান, এই সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ২০৪৩ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাছাড়া, কমিশন কিছু বিষয়ে সরাসরি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা পাবে বলেও সুপারিশ এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনের প্রস্তাব তুলে ধরে ড. আলী রীয়াজ বলেন, “রাষ্ট্রপতি যেন শুধু প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী নিয়োগ দিতে পারেন—এমন বিধান সংবিধানে সংযোজনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।” আগামীকাল (১ আগস্ট) বাকি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে এবং ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই সকল আলোচনা সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের ঐকমত্যের বিষয়গুলো রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।