
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রাণহানি আরও বাড়ল। শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জারিফ এবং স্কুল সহকারী মাসুমার মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভয়াবহ এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৫ জনে। ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা ও অবস্থা সম্পর্কে শনিবার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে জাতীয় বার্ন ও প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. নাসির উদ্দীন এসব তথ্য জানান।
চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, বর্তমানে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন ৩৬ জন। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা সংকটাপন্ন এবং নয়জন রয়েছেন গুরুতর অবস্থায়। নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী জারিফ সকালে মৃত্যুবরণ করেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা সকাল ৯টার পর তাকে মৃত ঘোষণা করলে কান্নায় ভেঙে পড়েন শিশুটির পিতা। তার কিছুক্ষণ পর আসে স্কুল সহকারী মাসুমার মৃত্যুসংবাদ—যা পুরো পরিবেশকে আরও ভারী করে তোলে।
দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এই মর্মান্তিক ঘটনায়। নিহতদের স্মরণে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন শোক জানিয়ে কর্মসূচি পালন করছে। সরকারের পক্ষ থেকে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো শিক্ষার্থী বা নাগরিক এমন মর্মান্তিক পরিণতির শিকার না হন।