
যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজন শিক্ষার্থী ও দুইজন অভিভাবক নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের কন্ট্রোলরুম। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, নিখোঁজদের বিষয়ে এখন পর্যন্ত নতুন করে আর কেউ অভিযোগ করেনি।
কন্ট্রোলরুম আরও জানায়, দুর্ঘটনার পর কিছু মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) রাখা হয়েছে। তবে অধিকাংশ মরদেহের অবস্থা এমন যে, স্বাভাবিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব নয়। শনাক্তের একমাত্র উপায় হচ্ছে ডিএনএ পরীক্ষা। এ কারণে নিহতদের তালিকা এখনো চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করা যায়নি। পরিবারগুলো দিনরাত অপেক্ষায় থাকলেও, শনাক্ত প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ায় উৎকণ্ঠা আরও বাড়ছে।
আইএসপিআরের সর্বশেষ তথ্যমতে, দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে এবং আহত হয়েছেন প্রায় দেড় শতাধিক। এর মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন ৫৭ জন। সবচেয়ে গুরুতর অবস্থায় আছেন বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৮ জন, যাদের অনেকের শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এসব রোগীর অবস্থা এখনও ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’। সব মিলিয়ে, দুর্ঘটনাটি দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামরিক নিরাপত্তা উভয়ের জন্যই একটি গভীর আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে।