
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হয়েছে একই পরিবারের যমজ দুই বোন—সারিনা জাহান ও সাইবা জাহান। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে সংঘটিত ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার সময় তারা স্কুলের ক্লাসে অংশ নিচ্ছিল। দুর্ঘটনায় সারিনার শরীরের প্রায় ২০ শতাংশ ও সাইবার ৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। বর্তমানে তারা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সারিনার অবস্থা তুলনামূলকভাবে গুরুতর হলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে দুজনই আশঙ্কামুক্ত।
দগ্ধ শিশুদের বাবা ইয়াছিন মজুমদার জানান, তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা। তার দুই মেয়ে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ঘটনার সময় তিনি বাসায় ছিলেন। খবর পেয়ে স্ত্রী আকলিমা আক্তারকে নিয়ে স্কুলে পৌঁছে মেয়ে দুটিকে খুঁজতে থাকেন। পরে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে গিয়ে তিনি দুই কন্যার সন্ধান পান। এ সময় পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং সার্বক্ষণিকভাবে হাসপাতালের পাশে অবস্থান করছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শারীরিকভাবে সুস্থতা অর্জনের পাশাপাশি মানসিক ট্রমা থেকেও মুক্তি পেতে সময় লাগবে যমজ শিশুদের। আহতদের বাবাও দেশবাসীর কাছে আন্তরিকভাবে দোয়া চেয়েছেন—“আমার মেয়েরা এখনো ভয় আর আতঙ্কে কেঁপে কেঁপে উঠছে। তারা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারে, এই দোয়া চাই।” দুর্ঘটনার পর থেকেই স্থানীয় জনগণ ও সহপাঠীদের মধ্যে গভীর শোক ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।