
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিতে সহিংসতার ঘটনায় চারজন মানুষ বিচার বহির্ভূতভাবে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ফরিদপুরে আয়োজিত এক পদযাত্রা কর্মসূচিতে তিনি বলেন, “আমরা সন্ত্রাসীদেরও মানবাধিকারে বিশ্বাস করি, কিন্তু যারা গুলি চালিয়েছে—তাদের বিচারিক প্রক্রিয়ায় আনতেই হবে।” তাঁর মতে, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা এই ঘটনার পেছনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “গোপালগঞ্জে সাধারণ মানুষকে হয়রানি না করে হামলাকারীদেরই আইনের আওতায় আনুন।”
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ও অহিংস। কিন্তু গোপালগঞ্জে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে যে বর্বরতা হয়েছে, তা কোনো সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না।” তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে স্বৈরাচারের দোসর এবং দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা সক্রিয়ভাবে ফ্যাসিবাদী শক্তির পক্ষে কাজ করছে। এনসিপির এই শীর্ষ নেতা সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, “খুব শীঘ্রই আমরা গোপালগঞ্জ যাবো। সাধারণ মানুষকে মুজিববাদ থেকে মুক্ত করবো।”
এ সময় তিনি ‘রিফাইন আওয়ামী লীগ’ ও ‘মুজিববাদীদের নতুন ভার্সন’ বলে অভিযুক্তদের ইঙ্গিত করে বলেন, “গতকাল আমরা তাদের নতুন চেহারা দেখেছি, যা আগের চেয়েও ভয়াবহ।” নাহিদ ইসলাম জানান, ৫ আগস্টের মতো আবারও গণপ্রতিরোধ হবে, এবং জনগণের সম্মিলিত শক্তিতে ‘মুজিববাদীদের’ প্রতিহত করা হবে। তাঁর বক্তব্যে বারবার উঠে এসেছে ‘অবিচার’, ‘অত্যাচার’ ও ‘স্বৈরতন্ত্র’ থেকে মুক্তির ডাক, যা আগত দিনের রাজনৈতিক উত্তাপের ইঙ্গিতই বহন করছে।