
ঢাকা, ১৬ জুলাই — গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। বুধবার (১৬ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সংগঠনটির মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ঘোষণা করে বলেন, এই সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করা হলে শুক্রবার হাজারো মানুষের লং মার্চ হবে গোপালগঞ্জ অভিমুখে। হাদি বলেন, “সরকারে এনসিপির দুই ভাই থেকেও যদি গোপালগঞ্জে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হয়, তাহলে এই রাষ্ট্রে জনগণের নিরাপত্তা কোথায়?” তিনি এক পর্যায়ে বলেন, “শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলবে, তবে কেউ উসকানি দিলে স্যান্ডেল মেরে দাঁত ফেলে দেওয়া হবে।”
বিক্ষোভে হাদি আরও বলেন, “বিএনপি, জামাত, এনসিপির সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধ থাকলেও ‘জুলাই সনদ’ ও স্বাধীনতার প্রশ্নে কারও সঙ্গে আপস নেই।” তিনি গোপালগঞ্জের প্রতিটি উপজেলাকে মাদারীপুর ও ফরিদপুরের সঙ্গে সংযুক্ত করার দাবি জানান। ইনকিলাব মঞ্চের নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ সমাবেশে বলেন, “এই হামলার মূল উদ্দেশ্য জুলাই সনদ বাতিল করা। যতদিন গোপালগঞ্জে দিল্লির ‘হনুমান’ থাকবে, ততদিন জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হবে না।” তিনি আরও বলেন, “সনদ পেতে হলে সবাইকে রাবণে পাঠাতে হবে।”
সমাবেশ শেষে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা টিএসসি থেকে মিছিল করে শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান নেন। সেখানে তারা স্লোগান দিতে থাকেন—“মুজিববাদ নিন্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ”, “গোলাপিদের আস্তানা ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও”, “লাল জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠো হাতিয়ার” ইত্যাদি। পুলিশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে থাকলেও এখনো কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি। তবে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয়, সেটিই এখন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দৃষ্টি কেড়েছে।