
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের মধ্যে এনসিপির শীর্ষ নেতাদের গাড়িবহরকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা হামলার অভিযোগ উঠেছে। এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, সন্ত্রাসীরা দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সার্জিস আলমের গাড়ি লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা চালিয়েছে। তিনি লেখেন, “সন্ত্রাসীদের টার্গেট ছিল এই তিন নেতা। তবে তারা জানতো না, আমি জোর করে তাদেরকে অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছিলাম।”
তুহিন জানান, হামলাকারীরা তিনটি নির্দিষ্ট গাড়ির ওপরই গুলি ও বোমা ছোড়ে। তিনি লেখেন, “আমি নিজেই নাহিদ ইসলামের গাড়িতে ছিলাম। বিকট শব্দে একেকটা বোমা পড়ছিল। গান পাউডার ও পেট্রোল রাস্তায় রাস্তায় ছড়িয়ে রাখা হয়েছিল। সর্বত্র গাছ ফেলে পথ অবরোধ করা হয়েছিল যাতে পালানোর উপায় না থাকে।” তিনি আরও দাবি করেন, হামলার ফলে এনসিপির অন্তত চারজন কর্মী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন এবং একজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
এ ঘটনাকে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের চেষ্টার অংশ বলেই মনে করছেন এনসিপির নেতারা। তারা বলছেন, পরিকল্পিতভাবে হামলার মাধ্যমে দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই ও তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দেশজুড়ে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি তুলেছেন দলটির সমর্থকরা।