
সংস্কার, সংলাপ ও জুলাই সনদের নামে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ভিন্নমত পোষণ করেও সহনশীল থাকা যায়, কিন্তু রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে শত সংস্কার করেও দেশ এগোবে না। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ঢাকা ট্যাকসেস বার অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, সম্প্রতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে আলোচনার পর নির্বাচনের দিন ঘোষিত হওয়ায় কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠী অস্বস্তিতে পড়েছে। তারা ভেবেছিল, নির্বাচন ছাড়া দীর্ঘ সময় ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে। নির্বাচন পিছিয়ে দিলে গুটিকয়েক ছোট গোষ্ঠী উপকৃত হলেও জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ন হবে। সঠিক প্রতিনিধিত্ব না থাকলে জবাবদিহিতার প্রশ্নই আসে না—এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রে অংশগ্রহণের পথ খোলা রাখতে হবে সকলের জন্য।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশের মানুষের রাজনৈতিক মনোজগতের পরিবর্তন ঘটবে, এবং যারা সময়ের ভাষা বুঝবে না, তাদের রাজনীতিতে কোনো ভবিষ্যৎ নেই। শেখ হাসিনার সরকার সব লুটপাটের পরেও অর্থনীতিকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারেনি, তাই এখনো দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার সম্ভব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিএনপি সরকারে গেলে কর ব্যবস্থায় মৌলিক সংস্কার আনার কথাও জানান তিনি, যা জনগণকে স্বস্তি দেবে এবং আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।