
চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে বিপাকে পড়েছেন লাখ লাখ শিক্ষার্থী। সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর বকশিবাজারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনে বিক্ষোভে অংশ নেন কয়েকশো শিক্ষার্থী। তারা দুইটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে রাস্তায় অবস্থান নেন। কেউ চাইছেন সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার সুযোগ, কেউবা আবার এইচএসসি এডমিট ও তথ্য সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের হাতে ‘সাপ্লিমেন্ট পরীক্ষা চাই’, ‘কলেজে ভর্তির সুযোগ দাও’, ‘রচনামূলকতে পাশ করলেও ফেল কেন?’—এমন নানা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবি, রচনামূলক (CQ) অংশে ৪০-৫০-এর বেশি নম্বর পেলেও কেবলমাত্র এমসিকিউ অংশে ১-২ নম্বর কম থাকায় তারা ফেল করেছেন। পাসের জন্য এমসিকিউ ও CQ–তে আলাদা করে পাশের নিয়মকে তারা অমানবিক ও শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি অবিচার বলে মনে করছেন। অনেকেই বলেন, “৬ লাখ শিক্ষার্থী ফেল করে—এটা কি আমাদের ব্যর্থতা, না পদ্ধতির?” তারা প্রশ্ন তোলেন, “এ নিয়ম কি আমাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করার ফাঁদ নয়?” শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এভাবে ফেল দেখিয়ে তাদের এক বছর নষ্ট করে দেয়া হচ্ছে, যা মানসিক চাপ ও হতাশা তৈরি করছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একজন কর্মকর্তা জানান, ছাত্রদের একাংশ সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার দাবি তুলছে, অন্য অংশ কিছু তথ্য সংশোধনের আবেদন নিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, “বোর্ড বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছে।” পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শিক্ষার্থীদের এমন বিক্ষোভ নতুন এক নীতিগত প্রশ্ন তুলেছে—এসএসসি পরীক্ষার কাঠামো ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় কি পরিবর্তন জরুরি হয়ে পড়েছে?