
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বিমান ও স্থল হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার থেকে শনিবার, ১২ জুলাই পর্যন্ত) আরও অন্তত ৬১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৩১ জন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১১ জন ত্রাণ সংগ্রহের সময় ইসরায়েলি আগ্রাসনের শিকার হন। মানবিক সংকটের মধ্যেও ইসরায়েলি বাহিনীর এই সহিংসতা আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তরের পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে আক্রমণ চালায়। কেন্দ্রীয় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ হামলায় অনেকেই হতাহত হন। দেইর আল-বালাহ এলাকায় আইডিএফের দু’টি পৃথক বিমান হামলায় প্রাণ হারান ৪ জন, আহত হন আরও অনেকে। খান ইউনিসের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি এলাকায় বাস্তুচ্যুতদের অস্থায়ী তাঁবুতেও গুলি ও বোমা বর্ষণ করা হয়, যেখানে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭ জন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত কেবল ত্রাণ সংগ্রহের সময় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৮০০ ফিলিস্তিনি।
রামাল্লাহর উত্তরের সিঞ্জিল শহরসহ আরও বেশ কয়েকটি স্থানে একাধিক হামলায় হতাহত হয়েছেন বহু ফিলিস্তিনি। সাম্প্রতিক এই ধারাবাহিক হামলাকে “মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ” হিসেবে আখ্যা দিয়েছে অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা। অথচ বিশ্বের বহু দেশ এখনো নিশ্চুপ কিংবা দ্বৈত অবস্থানে। গাজার জনগণ বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত—এমন এক বাস্তবতা ক্রমশ দীর্ঘায়িত হচ্ছে।