
পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে ও মাথা থেঁতলে হত্যার ঘটনায় চরম ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা ৮টার দিকে হলপাড়া থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর ঘুরে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা রাজপথ কাঁপানো নানা প্রতিবাদী স্লোগান দেন—‘যুবদলের সন্ত্রাস, রুখে দেবে ছাত্রসমাজ’, ‘তারেক রহমান জবাব দে’, ‘জ্বালো রে জ্বালো আগুন জ্বালো’, ইত্যাদি।
সমাবেশে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, “আজ দেশের প্রতিটি জেলা ও বন্দর চাঁদাবাজদের স্বর্গে পরিণত হয়েছে। আর পুরান ঢাকায় মধ্যযুগীয় কায়দায় একজনকে হত্যা করা হয়েছে শুধু চাঁদা না দেওয়ার কারণে। মিডিয়া চুপ, প্রশাসন নিশ্চুপ—সোশ্যাল মিডিয়ায় না এলে কেউ জানত না।” তিনি তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনারা লন্ডন থেকে নাটকীয় ফোন দেন, আর দেশে ঘটে চাঁদাবাজি, খুন। এই দল সামলান, নয়তো ইতিহাস আপনাদেরও ক্ষমা করবে না।”
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, “আপনারা বিরোধী দলে থেকেও অন্যায় করছেন। এই দেশের মানুষ অত্যাচার আর মেনে নেবে না। বাবাকে পিটিয়ে হত্যা, পাথর মেরে ব্যবসায়ী খুন—এই বর্বরতা সহ্য করা হবে না। বিএনপিকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে পথে গেছে, আপনারাও সেই পথে হাঁটবেন না।’ তিনি জুলাই সনদ ঘোষণা, বেকারদের কর্মসংস্থান, এবং নির্বাচনপূর্ব রাজনৈতিক সংস্কারের দাবি জানান। বলেন, “শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরি ছেড়ে রাস্তায় এসেছে দেশকে ভালোবাসার জন্য, নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ছিনতাই হতে দেব না।” সমাবেশে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা এক বাক্যে স্লোগানে জানান দেন—তারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।