
নির্বাচন ছাড়া দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বা রক্ষা করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি অভিযোগ করেন, দেশে নির্বাচন ঠেকাতে নানা রকম ষড়যন্ত্র চলছে—সংস্কারের নামে, সংখ্যানুপাত পদ্ধতির নামে কিংবা নতুন ফর্মুলার নামে। এসব পরিকল্পনার পেছনে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে বলেও দাবি করেন তিনি।
দুদু আরও বলেন, “লন্ডনে তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর দেশে নতুন করে আস্থার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে—তাড়াতাড়ি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলে অস্থিরতা কেটে যাবে।” তিনি সরাসরি ক্ষমতাসীন দলকে আক্রমণ করে বলেন, “আওয়ামী লীগ নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস করেছে। তাদের আগামী ১০০ বছরের মধ্যে ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই।” বক্তব্যে তিনি ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য গণআন্দোলনের প্রস্তুতির কথাও বলেন।
প্রতিবাদ সভায় বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, “জয়নুল আবেদিন ফারুকের ওপর যারা হামলা করেছিল, সেই দুই পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। তারা শুধু একজন সংসদ সদস্যকে নয়, সংসদকেই আক্রমণ করেছিল।” এ ঘটনার জন্য তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীরকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “বিরোধীদলের ওপর হামলা আর হুমকি দিয়ে সত্যকে দমন করা যায় না। অবিলম্বে এই অন্যায়ের জবাব দিতে হবে।” বক্তারা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দেন।