
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ উভয় ক্ষেত্রেই মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে থাকলেও সামগ্রিক ফলাফল হতাশাজনক। এবছর বোর্ডে গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, যা ২০২৪ সালের তুলনায় ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ কম। এছাড়াও, জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ৯ হাজার ৯০২ জন শিক্ষার্থী, যা গত বছরের তুলনায় কমেছে ২ হাজার ১৯৮টি। এই ফলাফলের একটি বড় দিক হলো—মেয়েদের সাফল্য বৃদ্ধি এবং কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৭২ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৫৮১ জন। মেয়েদের পাসের হার ছিল ৬৪ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৪৯৫ জন মেয়ে, যেখানে ছেলেদের পাসের হার ৬২ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৪ হাজার ৪০৭ জন। বিষয়ভিত্তিক ফলাফলে দেখা যায়, বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার সবচেয়ে বেশি—৮৮ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, যেখানে মানবিকে তা নেমে এসেছে মাত্র ৪৬ দশমিক ৭৭ শতাংশে। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগেও পাসের হার খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়—৫৩ দশমিক ৯২ শতাংশ।
ফল প্রকাশ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বেলা ২টায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান মো. শামছুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বোর্ড সচিব অধ্যাপক খোন্দকার ছাদেকুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক রুনা নাছরীনসহ বোর্ডের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা। ফলাফলে সবচেয়ে হতাশাজনক তথ্য উঠে এসেছে কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার ইসলামপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে, যেখানে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩২ জন শিক্ষার্থীর কেউই পাস করেনি। এর বিপরীতে বোর্ডের ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের গৌরব অর্জন করেছে। সামগ্রিকভাবে, ফলাফল শিক্ষা খাতে আরও পরিকল্পিত ও বৈজ্ঞানিকভাবে ভিত্তিক উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।