
আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন ব্যবস্থায় পরিবর্তন নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপে ব্যস্ত। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে পিআর বা সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে একটি দলের সারাদেশে প্রাপ্ত মোট ভোটের অনুপাতে আসন বণ্টনের কথা বলা হয়। যদিও দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলছে, প্রচলিত সরাসরি ভোটই সর্বোত্তম পথ।
জামায়াত ও এনসিপি-সহ কয়েকটি ছোট দল উচ্চ ও নিম্ন উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতির পক্ষপাতী। এনসিপির আখতার হোসেন বলেন, ১ শতাংশ ভোট পেলেও সংসদে প্রতিনিধিত্ব পাওয়া উচিত—তাতে সব মতের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। তবে বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদ ও সিপিবির রুহিন হোসেন প্রিন্স মনে করছেন, পিআর নিয়ে আলোচনা আসলে সময় নষ্ট। তাদের দাবি, এই পদ্ধতি মূলত ছোট দলগুলোর সুযোগ নেওয়ার কৌশলমাত্র। বিশেষ করে বাংলাদেশে নির্বাচন ও গণতন্ত্রের বাস্তবতা পিআর ব্যবস্থার উপযোগী নয়।
ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার জানিয়েছেন, বিএনপি উচ্চকক্ষে পিআরের কথা বললেও সেটি ভোট নয়, নিম্নকক্ষের আসনের হারে—যা তিনি অর্থহীন বলে মন্তব্য করেন। এ নিয়ে সিদ্ধান্ত না এলে নির্বাচন পরবর্তী সংসদেই চূড়ান্ত নির্ধারণ হওয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন রুহিন প্রিন্স। সবমিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিভাজনের নতুন ক্ষেত্র তৈরি করছে।