
জাতীয় পার্টিতে ফের নেতৃত্ব সংকট ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। দলটির সদ্য বহিষ্কৃত মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু অভিযোগ করেছেন, জাতীয় নির্বাচনের সময় মনোনয়ন ফরমের অর্থের হিসাব চাওয়াতেই তাকে ও আরও দুই নেতাকে পদচ্যুত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সিনিয়র নেতাদের এভাবে অব্যাহতি দেওয়া অবৈধ, স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক।
সাবেক মন্ত্রী ও সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, তারা এখনো স্বপদে বহাল আছেন এবং বহিষ্কারের সিদ্ধান্তটি বেআইনি। তিনি অব্যাহতির সিদ্ধান্ত বাতিল করে দলের একটি পূর্ণাঙ্গ কাউন্সিলের দাবি জানিয়েছেন। তার অভিযোগ, মৃত্যুপথযাত্রী হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কাছ থেকে জোর করে চেয়ারম্যান পদ আদায় করেন জি এম কাদের। অন্যদিকে, দলের আরেক নেতা রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, “জাতীয় পার্টি ভাঙার জন্য নয়—একত্রে, ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগোতে চায় আমরা।” উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যায় মাত্র ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে তিন শীর্ষ নেতাকে বহিষ্কার করে চরম উত্তেজনার জন্ম দেন পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।