
চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো দুইজনের শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগে সতর্কতা জারি হয়েছে। একজন পুরুষ ও একজন নারী—দুজনেরই বয়স ৪২। তারা জ্বর, শরীর ব্যথা, লালচে দাগ, হাত-পা ফুলে যাওয়াসহ বিভিন্ন উপসর্গে ভুগছিলেন। উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর তারা চট্টগ্রামের ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে রক্ত পরীক্ষা করান। প্রাথমিক রিপোর্টে তাদের শরীরে জিকা ভাইরাসের উপস্থিতির ইঙ্গিত মেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই রিপোর্ট কম্বাইন কিটের মাধ্যমে করা হয়েছে যা একাধিক ভাইরাস শনাক্তে ব্যবহৃত হয়, তাই চূড়ান্ত নিশ্চিতকরণে আরও পরীক্ষার প্রয়োজন। এরই মধ্যে বিষয়টি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-কে জানানো হয়েছে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তাদের রিপোর্টের ওপর নির্ভর করবে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জিকা ভাইরাসের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই—এটি মূলত উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসায় নিয়ন্ত্রণযোগ্য। ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ার মতো এটি একটি মশাবাহিত রোগ এবং বিশ্রাম, প্রচুর তরল গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় ওষুধে সেরে ওঠা সম্ভব।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রথম জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয় ২০১৪ সালে, তবে চট্টগ্রামে এবারই প্রথম এমন ঘটনা ঘটলো। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এখনই মশা নিধনে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।