বৈষম্যবিরোধী কমিটি দিতে চাঁদা দাবি, ফাঁসের পর বললেন ‘মজা করেছি’

নিজস্ব প্রতিবেদক | যশোর, ৭ জুলাই ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলা শাখার তিন নেতার বিরুদ্ধে মণিরামপুর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আড়াই লাখ টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা হলেন — যশোর জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম আকাশ, মুখপাত্র ফাহিম আল ফাত্তাহ এবং সংগঠক মেহেদি হাসান।

অভিযোগকারীরা মণিরামপুর শাখার নেতা হাসান ইকবাল সানি, শরিফ মাহমুদ এবং নাসিমুল বারী সাইমুন। তারা জানান, গত ৩০ জুন সন্ধ্যায় মেহেদি হাসান ফোন করে জানান, মণিরামপুর উপজেলা কমিটি গঠনের বিষয়ে জেলা নেতারা আলোচনা করতে চান। পরে তারা ৮ জন সদস্য একত্রে যশোরে গিয়ে সিটি প্লাজার রুফটপে বৈঠকে অংশ নেন।

সেখানে আলোচনার একপর্যায়ে মেহেদি হাসান কমিটি গঠনের বিনিময়ে আড়াই লাখ টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ করেন তারা। তিনি বলেন, খসড়া তালিকায় থাকা ৮০ জন প্রার্থীর কাছ থেকে মাথাপিছু দুই হাজার টাকা করে তুললেই ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা হবে। বাকি অর্থ প্রথম সারির কয়েকজন মিলে দিলেই হবে।

এ সময় জেলা নেতারা আরও দাবি করেন, জেলা কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে এডহক কমিটির আহ্বায়ক পদের জন্য ২ লাখ এবং সদস্য পদের জন্য ১ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়। এছাড়া বহিষ্কৃত সদস্য সচিব জেসিনা মুর্সীদ ও ইলা সম্পর্কেও অশালীন মন্তব্য করেন বলে দাবি করেন মণিরামপুরের নেতারা।

অভিযোগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে জেলা সংগঠক মেহেদি হাসান বলেন, “হাসান ইকবাল সানি ও তার সহযোগীরা গ্রুপে লিখেছিল, তারা ১০ লাখ টাকা হলেও কমিটি নিতে চায়। সেজন্য আমরা মজা করে আড়াই লাখ টাকা চাওয়ার কথা বলি। এটা ছিল নিছক ঠাট্টা, বাস্তব কোনো দাবি নয়।” তিনি আরও জানান, ওই সময় বিএম আকাশ ও ফাহিম আল ফাত্তাহও উপস্থিত ছিলেন।

এই ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *