বাংলাদেশের ইতিহাসে জাতি কখনো বিপদের সামনে মাথা নত করেনি—বরং সব ক্রান্তিকালেই জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়িয়েছে। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (৬ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে ফাউন্ডেশন ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (FSDS) আয়োজিত ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তিতুমীরের সময় থেকে শুরু করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিটি সঙ্কটে দেশের জনগণ ঐক্যের শক্তি দেখিয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য জনগণকে ক্ষমতায়িত করতে হবে এবং তাদের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, জনগণের সিদ্ধান্তেই গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা টিকে থাকে। তিনি অভিযোগ করেন, গণতান্ত্রিক চর্চার পথে নানা বাধা তৈরি করা হচ্ছে, যেটা মোকাবিলায় রাজনৈতিক দল ও জনগণের মাঝে একটি বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা দরকার। তিনি বলেন, “আমরা অনেকেই এই বিষয়ে একমত হয়েছি। সামনে অনেক ইতিবাচক দিক দেখছি।”
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে আশাবাদ জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “দেশের মানুষ আজ তর্ক-বিতর্কের মাঝেও একটি ঐক্যের জায়গায় পৌঁছেছে। এই আলোচনা, মতবিনিময়ের মাধ্যমেই গণতন্ত্রের পথ খুঁজে বের করা সম্ভব। নেতিবাচক চিন্তা না করে, আমাদের সকলের উচিত দ্রুত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া।” তিনি আরও বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকার রক্ষায় এখনই ঐক্যবদ্ধ হওয়া সময়ের দাবি।