
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (১ জুলাই) দিনব্যাপী নানা বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল: “বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়”।
দিবসটি উপলক্ষ্যে সকালে উপাচার্য চত্বর থেকে এক আনন্দ র্যালি বের হয়। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। র্যালিটি টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়, যেখানে পায়রা চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় মূল আয়োজন। এ সময় সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন। পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থীরাও সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা পরিবেশ গঠনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা ও দায় আরও বেড়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ্যে সকালে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য, অবদান এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে মতবিনিময় করেন।
এদিকে, দিনটি উপলক্ষ্যে একটি বাণী দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “প্রতিষ্ঠার পর থেকে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও জ্ঞানচর্চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে।”
দিবসটি ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অতিথিদের অংশগ্রহণে দিনভর চলতে থাকে আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নানা আয়োজন।