
সিএনএন ও ফার্স নিউজের বরাতে | ২৫ জুন ২০২৫
গত ১২ দিনের সংঘর্ষের সময় ইসরায়েলের হয়ে কাজ করার অভিযোগে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী দেশব্যাপী অভিযান চালিয়ে অন্তত ৭০০ জনকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার (২৫ জুন) স্থানীয় সময়ে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ফার্স নিউজ এজেন্সি।
এজেন্সির প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের ‘ইসরায়েলের ভাড়াটে সেনা’ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, গ্রেফতারকৃতদের অধিকাংশই বিভিন্ন গুপ্তচর নেটওয়ার্কের সদস্য এবং জনসাধারণের তথ্য ও গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতার ভিত্তিতে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে।
এই গ্রেফতার অভিযান চালানো হয়েছে ইরানের কেরমানশাহ, ইসফাহান, খুজেস্তান, ফার্স এবং লোরেস্তান প্রদেশে। তবে রাজধানী তেহরানে কতজনকে আটক করা হয়েছে, সে তথ্য প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের বরাত দিয়ে জানা যায়, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ স্বীকার করেছে, তারা ইরানের অভ্যন্তরে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের একটি অভিযান পরিচালনা করছিল। অভিযানের অংশ হিসেবে মোসাদ সম্প্রতি এক ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে, যেখানে ইরানের ভেতর থেকে ড্রোন হামলার প্রস্তুতি দেখা যায়।
এই প্রেক্ষাপটে ইরানে গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে সরকার ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। অনলাইনে ইসরায়েলের পক্ষে প্রচারণা চালানো বা পোস্ট শেয়ার করার অভিযোগে বহু মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ‘মানসিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
গুপ্তচর কার্যক্রম কঠোরভাবে দমন করতে ইতোমধ্যে রাজধানী তেহরানের প্রসিকিউটর অফিসে একটি বিশেষ ইউনিট গঠন করা হয়েছে, যা মিডিয়া এবং ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া তদারকি করছে।
উল্লেখ্য, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরান একাধিক অভিযুক্ত গুপ্তচরকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে বলে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার খবরে দাবি করা হলেও, এসব তথ্যের স্বাধীন যাচাই সম্ভব হয়নি।