
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে সরে আসতে পারে—এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ফোয়াদ ইজাদি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ইরান বহু বছর ধরে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে সহযোগিতা করে আসছে শুধুমাত্র এনপিটি-সদস্য হওয়ার কারণেই। কিন্তু এই সহযোগিতা থেকে তেহরান তেমন কোনো লাভবান হয়নি।”
তিনি জানান, ইরান সম্ভবত চুক্তির ১০ নম্বর অনুচ্ছেদ ব্যবহার করতে পারে, যা কোনও সদস্য রাষ্ট্রকে প্রয়োজনীয় পরিস্থিতিতে চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়।
ড. ইজাদি বলেন, “এনপিটি-র সদস্য হওয়া বাধ্যতামূলক নয়। ইসরায়েলের মতো অনেক দেশই এই চুক্তির বাইরে রয়েছে। বর্তমান বাস্তবতায় ইরানেরও এই চুক্তিতে থাকার বিশেষ প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।”
আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি হয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যেসব হামলা হয়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “চুক্তির আওতায় থাকা অবস্থায় এসব স্থাপনাকে সুরক্ষিত থাকার কথা, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। ফলে চুক্তির কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।”
তিনি আরও জানান, ইরানের পার্লামেন্টের অধিকাংশ সদস্যও এনপিটি থেকে বেরিয়ে আসার পক্ষে এবং এ বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে বিতর্কও শিগগিরই অনুষ্ঠিত হতে পারে।