
ইসলামী আন্দোলনের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম দাবি করেছেন, ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের জান-মালের নিরাপত্তায় ইসলামী আন্দোলনসহ আলেম-ওলামারা রাস্তায় নেমেছিলেন। কিন্তু সে সময়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির সুযোগ নিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে ফরিদপুরের গোয়ালচামট পৌর অডিটোরিয়ামে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ জেলা শাখার আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। তার অভিযোগ, ইসলামী আন্দোলন ওলামা কেরামদের সঙ্গে আলোচনা করে ইসলামের পক্ষে একটি ঐক্যবদ্ধ ভোট নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, যা দেখে বিরোধীরা চরমোনাই ও আলেম সমাজের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে।
মুফতী রেজাউল করীম তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতেই নির্বাচন হওয়া উচিত। তার মতে, এই পদ্ধতিতে প্রতিটি ভোটারের ভোটের সঠিক মূল্যায়ন হয়, চোর বা গুন্ডা তৈরির সুযোগ থাকে না এবং সংসদে প্রতিটি দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়। তিনি অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্ট চরিত্রের রাজনীতি ও চাঁদাবাজি এই পদ্ধতিতে জায়গা পায় না, তাই বিরোধীরা পিআর ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করতে সক্রিয়। তিনি আরও বলেন, এখন দেশের বড় দাবি হলো— নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার, এরপর দৃশ্যমান বিচার।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি মুফতি রেজাউল করিম আবরার, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিস সূরা সদস্য প্রফেসর আব্দুত তাওয়াব, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মো. বদরুদ্দীন এবং গণঅধিকার পরিষদ ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মো. ফরহাদ হোসেন। বক্তারা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষার আহ্বান জানান এবং আসন্ন নির্বাচনে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক ভোটের দাবি তুলে ধরেন।