
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর পর্যটন এলাকায় রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটে জড়িতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, স্থানীয় প্রশাসনের কিছু অসাধু ব্যক্তি ও প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে পাথর আত্মসাতের মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল ক্ষতি করা হয়েছে। গত ১৩ আগস্ট দুদকের অভিযানে এ সংক্রান্ত প্রাথমিক তথ্য পাওয়ার পর তদন্ত কমিটি এ তালিকা প্রস্তুত করে।
প্রকাশিত তালিকায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নামসহ বেশ কয়েকজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ সুপার, ওসি, বিজিবি সদস্য থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নামও তালিকায় উঠে এসেছে। ৪২ জন ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিকে সরাসরি অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপি, জামায়াত, আওয়ামী লীগ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তারা পাথর ব্যবসার নামে অবৈধ উত্তোলন ও চোরাচালানে সরাসরি সুবিধাভোগী হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সাদা পাথর লুটপাটে জড়িতদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি ও যুবদলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা, কোম্পানীগঞ্জের আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির-সেক্রেটারি, এনসিপির সমন্বয়কারীরা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এমনকি কয়েকজন সাংবাদিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের নামও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাদের ভূমিকা এখনো যাচাই-বাছাই করছে তদন্ত কমিটি। প্রশাসন জানিয়েছে, এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দুর্নীতি দমন কমিশনের নজরদারি আরও জোরদার করা হবে।