
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং ১৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা ভাতা প্রত্যাহারের প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতরের সরকারি কর্মচারীরা।
শুক্রবার (২০ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এ সমাবেশে তারা সদ্য জারি করা আইনকে ‘কর্মচারীবিরোধী’ ও ‘কালো আইন’ বলে আখ্যা দেন।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে আচরণ করছে। অথচ এই সরকারই অতীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল।
তারা বলেন, “সরকারি চাকরিতে নিরাপত্তা হরণ করে যে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে, তা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি নতুন পে কমিশন গঠন করে চলতি বাজেটেই ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা চালুর দাবি জানাচ্ছি।”
কর্মচারীরা জানান, বর্তমানে যে ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা তারা পাচ্ছেন, নতুন ব্যবস্থা চালু হলে সেটি বাতিল হয়ে যেতে পারে। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা। তাই তারা বিশেষ সুবিধা ভাতা বহাল রেখে নতুন করে ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়নের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মে সরকার ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে। এতে চারটি শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা ছাড়াই কেবল কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে কর্মচারীদের বরখাস্ত করার বিধান রাখা হয়েছে। এই বিধানকে ‘নিবর্তনমূলক’ ও ‘অসাংবিধানিক’ উল্লেখ করে এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠন।