
আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক পথচলা ও ত্যাগের গল্প
আমার রাজনৈতিক সূচনা ২০০৬ সালে—কলেজ জীবনের সেই নিষ্পাপ বয়সে যখন শুধু স্বপ্ন ছিল দেশ, গণতন্ত্র আর মানুষের অধিকার নিয়ে। তারপর শুরু হয় সংগ্রামের এক দীর্ঘ অধ্যায়।
২০১২ সালে প্রথম গ্রেফতার হই। সেদিন ঘটনাস্থলে পুলিশের বর্বর লাঠিচার্জে আমার পায়ের তিনটি লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়। দেশের বাইরে চিকিৎসা নিলেও আজও আমি স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারি না।
কিন্তু থেমে যাইনি।
২০১৪ সালে আবারও গ্রেফতার হই। পুলিশের রাইফেলের আঘাতে আমার হাত ভেঙে যায় এবং আমাকে ঘটনাস্থল থেকেই তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগে আবারও গ্রেফতার। টানা দুই মাস কারাভোগের পর মুক্তি পাই।
শেষ হয়নি।
২০২৩ সালেও আবার গ্রেফতার হই। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে হামলা, মার্ডার মামলা, বিস্ফোরণ, ভাঙচুর, পুলিশের কাজে বাধা—এমন অসংখ্য মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার বোঝা কাঁধে নিয়ে টিকে থেকেছি শুধু দলের জন্য, দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরের পরে যখন পুলিশের গুলিই ছিল বিএনপি নেতাকর্মীদের একমাত্র পরিচয় ও আতঙ্ক—সেই সময় আমি নিজ দায়িত্বে, নিজের নেতৃত্বে অসংখ্য মিছিল করেছি। দিনের পর দিন ঝড়–ঝাপটা–বৃষ্টি–অন্ধকারে রাত কাটিয়েছি শুধু দলকে বাঁচাতে, আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে।
কিন্তু কখনো ১%—হ্যাঁ, মাত্র ১%—অসচ্চতা বা দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী কোনো কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করিনি।
৫ তারিখের পর পুলিশসহ দেশের কোনো গোয়েন্দা সংস্থা আমার নামে পাঁচ টাকারও অসচ্চতার প্রমাণ দেখাতে পারবে না—আমি এ বিষয়ে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে চ্যালেঞ্জ জানাই।
এত কিছু করেছি দলকে ভালোবেসে, দেশকে বাঁচাতে, গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের স্বপ্নে।
আমি নীতি, নৈতিকতা ও আদর্শকে আঁকড়ে ধরে রাজনীতি করেছি এবং ইনশাআল্লাহ—এ ভাবেই রাজনীতি করে যাবো।
আজ দল আমাকে বহিষ্কার করেছে—কিন্তু আমি বিন্দুমাত্র বিচলিত নই।
দল আমাকে চিনবে, দল আমাকে খুঁজে নেবে—আমি এই বিশ্বাস রাখি।
ইনশাআল্লাহ খুব শিগগিরই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
আমি মানুষের ভালোবাসা, নেতাকর্মীদের আন্তরিকতা, এবং আল্লাহর রহমত নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই—এগিয়েও যাবো।
গণতন্ত্রের জন্য, দলের জন্য, আর আমার এই অটুট আদর্শের জন্য।
ইনশাআল্লাহ…!
*খায়রুল ইসলাম রোমান (ফেসবুক পোস্ট)