
পটুয়াখালী, ৩০ মে — নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস ও ভারি বৃষ্টিপাতে পটুয়াখালী জেলাজুড়ে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা ও জনদুর্ভোগ। জেলার আটটি উপজেলার ৬২টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌরসভায় পানি ঢুকে কমপক্ষে ১ লাখ ১৯ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (৩০ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে প্রেরিত একটি প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের স্বাক্ষরিত এসওএস ফরমে জানানো হয়, চলমান নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ না নিলেও এর প্রভাব ছিল ভয়াবহ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্যোগে আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ হাজার ১৭২টি বসতঘর, সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে ৯টি ঘর। এখনো পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া না গেলেও জেলা প্রশাসন পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি ত্রাণ সহায়তার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কাছে ৫০ লাখ টাকা চেয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি কুয়াকাটা ও খেপুপাড়ার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে বর্তমানে সাতক্ষীরা অঞ্চলে অবস্থান করছে। এতে পটুয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরে এখনো তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে।
এদিকে জেলার কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী, গলাচিপা ও বাউফল উপজেলায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে ডুবে গেছে অসংখ্য ঘরবাড়ি, মাছের ঘের ও কৃষিজমি। পানিবন্দি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু বাঁধ, স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য নিরাপদ স্থানে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবক ও বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে।