নতুন নির্বাচনী প্রস্তাবে ষড়যন্ত্রের আভাস দেখছে গণঅধিকার পরিষদ

ঝিনাইদহ, ১১ জুন: নির্বাচন সংস্কার কমিশনের নতুন প্রস্তাবে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়লে পুনঃভোটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে—এই প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান। তিনি বলেছেন, এ ধরনের প্রস্তাবের মাধ্যমে দেশে ‘নতুন এক-এগারো বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র’ শুরু হয়েছে।

বুধবার (১১ জুন) সকালে ঝিনাইদহ শহরের ফ্যামিলি জোন অডিটোরিয়ামে এক মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।

রাশেদ খান বলেন, “এপ্রিল গরমের মাস। কৃষকরা তখন ফসল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, ফলে ভোটার উপস্থিতি কম থাকবে। এটিকে অজুহাত বানিয়ে ভোটার কম দেখিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার ষড়যন্ত্র করছে।”

তিনি প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলেন, “আপনার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন। ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। কয়েকজন উপদেষ্টার কথায় দেশ চলতে পারে না। জনগণের ও রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে রাশেদ খান বলেন, “তিনটি দল সংলাপে এপ্রিলে ভোট চাইলেও, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরেই নির্বাচন চেয়েছে। অথচ অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত উপেক্ষা করে মাত্র তিনটি দলের মতকে প্রাধান্য দিয়েছে।”

দেশের করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েও সমালোচনা করেন রাশেদ খান। তিনি বলেন, “করিডর ও বন্দর আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। মানবিক করিডরের নামে দেশের স্বাধীনতা যদি ক্ষুণ্ণ হয়, তাহলে জনগণ বুকের রক্ত দিয়ে তা প্রতিহত করবে। বিদেশি কোনো সংস্থার হাতে চট্টগ্রাম বন্দর তুলে দেওয়া চলবে না।”

তিনি আরও বলেন, “এই অন্তর্বর্তী সরকার গণঅভ্যুত্থানের ফসল। বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মত উপেক্ষা করে নির্বাচন নিয়ে একক সিদ্ধান্ত নিলে তা জাতি মেনে নেবে না। আমরা সরকারের সমালোচনা করছি, উপদেষ্টাদের সমালোচনা করছি, কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইনি। তারপরও জাতি তার পদত্যাগের নাটক দেখেছে।”

রাশেদ খান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি সরকার ব্যর্থ হয়, তাহলে জাতি তাদের ক্ষমা করবে না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *