
কক্সবাজারের চকরিয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা ও হামলার চেষ্টার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মাঠ। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শনিবার (১৯ জুলাই) বান্দরবানের সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “চকরিয়ায় আমাদের বহরের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করতে চাওয়া হয়েছে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং দেশে আবারও ভয় ও দমনমূলক রাজনীতির পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাধা প্রদান করে যদি কেউ মনে করেন তারা গণআন্দোলন থামাতে পারবে, তবে তারা বড় ভুল করছে। জনগণ আবারও রাজপথে নামবে।”
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেবল সরকার পরিবর্তনের জন্য নয়, বরং একটি নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য ছিল। কিন্তু সরকার বদলালেও দুঃশাসনের রূপ বদলায়নি। এখনো সেই একই দমননীতি, দলীয়করণ আর বিভাজনের রাজনীতি চলছে। মুজিববাদের সংবিধান বরাবরই ফ্যাসিজমকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে এসেছে। যারা গণহত্যা করেছে, রাষ্ট্রের সম্পদ লুটপাট করেছে, তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রাম এনসিপির নতুন ঘাঁটি হবে। এখান থেকেই পরিবর্তনের ধ্বনি আরও জোরালো হবে।”
উল্লেখ্য, এর আগে কক্সবাজারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে কটাক্ষ করে এনসিপি নেতা নাসিরউদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্য ঘিরে ঈদগাঁও ও চকরিয়ায় উত্তেজনা ছড়ায়। এনসিপির কর্মসূচিকে প্রতিহত করতে বিএনপির নেতাকর্মীরা সড়কে বিক্ষোভ করলে নির্ধারিত কর্মসূচি বাতিল করতে হয় দলটিকে। এনসিপি মনে করে, এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে—গণতন্ত্রের নামে দেশে একটি দলের আধিপত্যমূলক রাজনীতি চলছে, যেখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্রমাগত সংকুচিত হচ্ছে।