
বাংলাদেশ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে এবং এর প্রধান কারণ সরকারি আমলাদের দুর্নীতি—এমন মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ আয়োজিত ‘জনপ্রশাসন সংস্কার: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমলাতন্ত্র এখন ‘শ্রেষ্ঠত্বের বলয়ে’ আবদ্ধ, যেখানে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণি রাষ্ট্রযন্ত্রকে একচেটিয়াভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। এই শ্রেণিটি রাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেও জনগণের কোনো জবাবদিহিতা করছে না। বরং ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে এরা পরিণত হয়েছে স্বৈরাচারে। রাশেদ খান আরও বলেন, প্রশাসনে বৈষম্য দূর না হলে রাষ্ট্রীয় কাঠামো আরও দুর্বল হবে।
তিনি আরও বলেন, “যৌক্তিক দাবি নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের বৈষম্যের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করাটা সাংবিধানিক অধিকার। অথচ বাস্তবে তারা সেই অধিকার প্রয়োগ করতে গেলেই হয়রানির শিকার হন।” রাশেদ খান জনপ্রশাসনের সংস্কারে প্রকৃত ও সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান এবং বলেন, “রাষ্ট্রকে টিকিয়ে রাখতে হলে বৈষম্যের অবসান ও জবাবদিহিতার সংস্কৃতি চালু করতে হবে।” উপস্থিত বিভিন্ন পর্যায়ের সুধীজন ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার বক্তব্যে একাত্মতা প্রকাশ করেন।