
রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আবারও সরব হলো জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রোববার (৩ আগস্ট) বিকেলে দলের আয়োজিত সমাবেশে সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্রকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। জনগণকে এই ইশতেহারের পাহারাদার হতে হবে।” তিনি অভিযোগ করে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এখনও জনগণের কাছে জবাবদিহি করেনি এবং পূর্ববর্তী একদলীয় ফ্যাসিবাদী আচরণের পুনরাবৃত্তি যেন ভবিষ্যতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, “৭২-এর সংবিধান ছিল একটি কলঙ্কিত দলীয় দলিল, বিদেশ থেকে পাশ করানো হয়েছিল, তা আর বাংলাদেশে টিকতে পারবে না।” তিনি শহীদদের বিচার ও মৌলিক রাষ্ট্র সংস্কারের নিশ্চয়তা দাবি করেন। একইসঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এনসিপির নেতাদের দিকে চোখ তুলে তাকালে রাজনৈতিকভাবে জবাব দেওয়া হবে। আমাদের নেতৃত্ব যে নির্দেশ দেবে, প্রয়োজনে জীবন দিয়েও তা বাস্তবায়ন করব।”
আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজকের সমাবেশে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণের হাত থেকে মুক্ত করে, জনগণের অংশগ্রহণে সেকেন্ড রিপাবলিক গঠনের যে অঙ্গীকার এনসিপি করেছে, তা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। সমাবেশে আরও জানানো হয়, “জুলাই আহত ও শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে। যারা রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহারে নির্যাতিত হয়েছে, তাদের জন্য ইনসাফ নিশ্চিত করতে হবে।”
এদিনের কর্মসূচিতে শহীদ মিনার থেকেই এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নতুন বাংলাদেশের ২৪ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন, যা রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক কাঠামোর ব্যাপক রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি দেয়। দলটি একবছর আগে ঘোষিত “একদফা” আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এই ইশতেহারকে তাদের সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার রূপরেখা হিসেবে তুলে ধরে।