
জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর শাহবাগে বড় ধরনের রাজনৈতিক সমাবেশের আয়োজন করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। রোববার (৩ আগস্ট) দুপুর ২টা থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা ও মহানগর ইউনিটের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। শাহবাগ মোড়ে একটি মঞ্চ নির্মাণ করে কর্মসূচির মূল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলসহ ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতারা।
এই সমাবেশকে ঘিরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে ছয় দফা নির্দেশনা, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—সমাবেশে কোনো ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন বা প্ল্যাকার্ড বহন না করা। সমাবেশ হবে সম্পূর্ণ প্রতীকহীন, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং রাজনৈতিক বার্তায় পূর্ণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর এটিই ছাত্রদলের প্রথম বৃহৎ গণজমায়েত, যা একটি নতুন ধারার রাজনৈতিক ভাষা এবং কার্যক্রম প্রদর্শনের চেষ্টা হিসেবেও দেখা হচ্ছে। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নেতাকর্মীদের কাছে বারবার সতর্ক বার্তা পাঠানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে।
ছাত্রদলের এই আয়োজন ঘিরে রাজধানীর শাহবাগ এবং আশপাশের এলাকায় যান চলাচলে কিছুটা ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে যে কোনো ধরনের জনদুর্ভোগের জন্য আগাম দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং পুরো এলাকা ঘিরে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নজরদারি। রাজপথে ফিরে আসা ছাত্রদল এখন ‘জুলাই চেতনার’ বার্তা ছড়িয়ে দিতে নতুন কৌশল ও শৃঙ্খলায় এগিয়ে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।