
গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রতীক ‘মাওলানা ভাসানী সেতু’ উদ্বোধনের মাত্র একদিন পরই চুরির ঘটনায় আলোচনায় এসেছে। ৯২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুর প্রায় ৩০০ মিটার বৈদ্যুতিক ক্যাবল চুরি হয়ে যাওয়ায় সন্ধ্যার পর থেকেই পুরো সেতু অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে। এতে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে এবং দুর্ঘটনার আশঙ্কা বহুগুণ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে সেতুর ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার সময় বাতি না জ্বলার পর বিষয়টি ধরা পড়ে।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল চৌধুরী শুক্রবার সকালে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উদ্বোধনের পরদিনই দুর্বৃত্তরা সেতুর বৈদ্যুতিক ক্যাবল কেটে নিয়ে যায়। ফলে সেতুর আলোকসজ্জা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি জানান, দ্রুত নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের চুরি ঠেকাতে সার্বক্ষণিক পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, আলো না থাকায় সন্ধ্যার পর সেতুতে চলাচল করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দুর্ঘটনার ভয়ে তারা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন এবং দ্রুত আলোকসজ্জা ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছেন।
এদিকে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হাকিম আজাদ জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হবে এবং দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে সেতুর নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। উল্লেখ্য, ২০ আগস্ট স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বহুল প্রত্যাশিত ভাসানী সেতুটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর থেকেই হাজারো মানুষ সেতুটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন, তবে নিরাপত্তাহীনতা ও অন্ধকারের কারণে তাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।