
📺 নিউজ রিপোর্ট:
বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাত্যহিক সমাবেশে নতুনভাবে শপথবাক্য পাঠের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। বুধবার, ২১ মে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, “সাম্যের বাংলাদেশ” গড়ার লক্ষ্য সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম ও নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতেই এই শপথবাক্য পাঠের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
🔊 নতুন শপথবাক্যটি হলো:
“আমি শপথ করিতেছি যে, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিবো। দেশের প্রতি অনুগত থাকিবো। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিবো। অন্যায় ও দুর্নীতি করিবো না এবং অন্যায় ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিবো না। হে মহান আল্লাহ/মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি আদর্শ, বৈষম্যহীন ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়িয়া তুলিতে পারি। আমিন।”
এই নির্দেশনার মাধ্যমে আগের শপথবাক্য থেকে কিছু শব্দ ও ধারণা বাদ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে যুক্ত হওয়া ‘মুক্তিযুদ্ধ’, ‘শেখ মুজিবুর রহমান’ এবং ‘শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে না দেয়ার’ মত রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক অনুষঙ্গ এই নতুন শপথ থেকে বাদ পড়েছে।
📜 ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নব্বই দশকের শুরুর দিকে যেসব শপথবাক্য পাঠ করা হতো, মূলত সেই কাঠামোই আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তবে এবার নতুন করে শপথে ‘অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান’ এর বিষয়টি জোর দিয়ে যোগ করা হয়েছে।
📌 প্রেক্ষাপট:
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চলতি বছরের ২০ আগস্ট প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে প্রথমিক বিদ্যালয় ও পিটিআই-এ একই ধরনের শপথ পাঠের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই ধারাবাহিকতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হলো।
🎯 উপসংহার:
নতুন শপথবাক্যকে কেন্দ্র করে শিক্ষা খাতে মূল্যবোধভিত্তিক শিক্ষার প্রতি সরকারের অঙ্গীকারই স্পষ্ট হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে রাজনৈতিক রেফারেন্স বাদ দেওয়াকে কেন্দ্র করে নানা মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।