সংগঠনের এক নেতাকে কামড় দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) ছাত্র রাজনীতিতে ফের উত্তপ্ত পরিস্থিতি। বুধবার (৩০ জুলাই) দিবাগত রাত ৩টার দিকে শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে বিজয় দিবস হলে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এই সংঘর্ষের সময় ঘটে যায় এক অপ্রত্যাশিত ও রীতিমতো চাঞ্চল্যকর ঘটনা—ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শফিকের ঘাড়ে কামড় দেন একই সংগঠনের সহ-সভাপতি বাদশা! প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির সময় দুই নেতা সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তখনই বাদশা পেছন দিক থেকে শফিকের ঘাড়ে কামড় বসিয়ে দেন।


এ বিষয়ে অভিযোগকারী ছাত্রদল নেতা শফিক বলেন, “আমি মূলত মারামারি থামানোর চেষ্টা করছিলাম। তাকে বলি—হলে গেট পেরিয়ে ভিতরে ঢুকো না। তখন হঠাৎ পেছন থেকে এসে আমার ঘাড়ে কামড় দেন।” ঘটনাটি জানাজানি হতেই বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা এ ধরনের ‘অস্বাভাবিক আচরণকে’ ছাত্র রাজনীতির অবনতি হিসেবে দেখছেন। কেউ কেউ মজা করে একে ‘রাজনৈতিক কামড় কাণ্ড’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিলেও এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি।


বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতির নামে সহিংসতা ও আচরণগত বিচ্যুতি নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। একাধিক শিক্ষক ও অভিভাবক এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, “নেতৃত্বের নামে যদি কামড়ানোর মতো ঘটনাও এখন স্বাভাবিক হয়ে যায়, তাহলে তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?” বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে নানা ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ শুরু হয়েছে, কেউ লিখেছেন—”গোবিপ্রবির রাজনীতিতে এখন কামড় দিয়ে নেতৃত্ব প্রমাণ!”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *