
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশে। এবারও দেশের অধিকাংশ শিক্ষা বোর্ডে মেয়েরা পাসের হারে ছেলেদের ছাড়িয়ে গেলেও ব্যতিক্রম দেখা গেছে সিলেট বোর্ডে। সেখানে ছেলেরা সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে। ফল অনুযায়ী, সিলেট বোর্ডে ছেলেদের পাসের হার ৬৮.৬২ শতাংশ এবং মেয়েদের ৬৮.৫৪ শতাংশ। যদিও উত্তীর্ণের সংখ্যা ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে মেয়েরাই এগিয়ে রয়েছে, যা শিক্ষা ক্ষেত্রে মেয়েদের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতির ইঙ্গিত দেয়।
জিপিএ-৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে চিত্রটা ভিন্ন। কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ছেলেরা জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে। কুমিল্লা বোর্ডে গড়ে ৬.৩১ শতাংশ ছেলে এবং ৫.৬২ শতাংশ মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে। চট্টগ্রাম বোর্ডে এই হার যথাক্রমে ৮.৯০ শতাংশ এবং ৮.০৭ শতাংশ। অন্যদিকে, মাদ্রাসা বোর্ডে ৩.৩২ শতাংশ ছাত্র এবং ৩ শতাংশ ছাত্রী সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করেছে। এসব তথ্য থেকে বোঝা যায়, পাসের হারে মেয়েরা ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে থাকলেও উচ্চ ফলাফলে ছেলেদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তীব্র রয়েছে।
শিক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, এই ফলাফল ইঙ্গিত দেয় যে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য অনেকটাই কমে এসেছে। যদিও পাসের হারে মেয়েরা সামগ্রিকভাবে এগিয়ে, জিপিএ-৫-এর ক্ষেত্রে ছেলেরা অনেক বোর্ডে ভাল করছে—বিশেষ করে বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষায়। তারা মনে করছেন, এই পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতের শিক্ষা নীতি প্রণয়ন করা জরুরি, যাতে দুই পক্ষেরই শক্তি ও দুর্বলতা চিহ্নিত করে সমতা নিশ্চিত করা যায়।